ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ , ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউখালীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়


আপডেট সময় : ২০২৫-০১-০৫ ২৩:৪১:০১
কাউখালীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় কাউখালীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়

 
রিয়াদ মাহমুদ সিকদার, কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
 
পিরোজপুরের কাউখালীতে দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের বেলায় মাঝে মাঝে সূর্য উঁকিঝুঁকি মারছে। হিমেল হাওয়ায় সর্বত্র শীতে জবুথবু অবস্থা। শীতের তীব্রতা বাড়ায় উপজেলার গরম কাপড়ের দোকানসহ ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছে ক্রেতারা।

এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। তাই উষ্ণতা পেতে তারা ঝুঁকেছেন পুরাতন কাপড়ের দিকে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী দোকান সহ ফুটপাতে গরম কাপড়ের অস্থায়ী দোকানের গরম কাপড় ক্রয় করার জন্য ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, পুরাতন শীতের কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ এসব কাপড় ক্রয় করার জন্য দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্ন আয়ের মানুষ গরম কাপড় কিনে নিজেদের উষ্ণ রাখার চেষ্টা করছেন। পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ার কারণে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলো। বেচাকেনা ভালো হওয়ায় বেশ স্বস্তিতে আছেন ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতে নিম্ন আয়ের মানুষ একটু সস্তায় কেনাকাটা করছেন বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাক। 

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, গরম টুপি, বিভিন্ন ধরনের ব্লেজার, মাফলার বিক্রি করতে দেখা গেছে। দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের ভিতরে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন মোটা গেঞ্জি, সোয়েটার ও চাদর পাওয়া যায় ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

উপজেলার মধ্য বাজারের ভাসমান বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, এই কাপড়গুলো কম দামে  বিক্রি না করলে কাস্টমার পাওয়া যায় না। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কম দামে আমাদের কাছ থেকে শীতের গরম কাপড় ক্রয় করছেন।

ফুটপাতের ব্যবসায়ী শান্তি রায় বলেন, কাপড় গুলো পুরনো হলেও বেশ আরামদায়ক ও দামেও কম।

বিক্রেতারা বলেন, এসব পোশাক কিনতে প্রকারভেদে প্রতি পিসে খরচ হয়  ৫০ টাকা থেকে থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ৫ হাজার টাকার গরম কাপড় বিক্রি করলে দেড় হাজার টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।

পুরাতন কাপড় বিক্রেতা হাসান বলেন, আমরা খুলনা, ঢাকা, মংলা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব পুরাতন কাপড় কিনে শীতের মৌসুমে বিক্রি করি। অনেক সময় পুরাতন কাপড় কিনে ওয়াশ করতে হয় বলে জানান বিক্রেতারা।

দিনমজুর শুকুর আলী ও রিক্সাচালক লিটন হোসেন বলেন, পুরাতন কাপড় কিনে আমরা শীতের তীব্রতার থেকে রক্ষা পায়। বেশি দামে আমাদের পক্ষে কেনা সম্ভব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারি কিংবা বেসরকারি ভাবে কম্বল কিংবা শীত নিবারণের কোন পোশাক পাইনি। 

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমি সামর্থ্য অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায়, দুস্থ ও বিভিন্ন এতিমখানায় কম্বল বিতরণ করছি এবং বিতরণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। 


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ